০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃতদের জন্য সওয়াব পৌঁছানোর ২ সুন্নত পদ্ধতি

প্রতিটি মানুষকে নির্ধারিত সময়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতেই হবে। চিরঞ্জীব ও চিরন্তন কেবল মাত্র মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা।

 

রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন, كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۖ فَمَن زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ ۗ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ

 

অর্থ: ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়’। (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৮৫)

 

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَنَبْلُوكُم بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً ۖ وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ

 

অর্থ: ‘প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদের মন্দ ও ভালো দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং তোমরা আমার কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে’। (সূরা: আম্বিয়া, আয়াত: ৩৫)

 

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও’। (সূরা: আন নিসা, আয়াত: ৭৮)

 

মৃতের কাছে সওয়াব পৌঁছানোর ২ সুন্নত পদ্ধতি

 

মৃতের আত্মায় সওয়াব পৌছানো বা তার উপকারে আসার সুন্নত ২টি পদ্ধতি হলো মৃতের জন্য দোয়া করা এবং সদকা করা।

 

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবিদের থেকে বহু সূত্রে মৃতের জন্য এ ২টি আমলের কথা বর্ণিত রয়েছে।

 

পবিত্র কোরআনুল কারিমে পূর্ববর্তী মুসলমানদের জন্য পরবর্তী মুসলমানদের ক্ষমা প্রার্থনা করার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَ الَّذِیْنَ جَآءُوْ مِنْۢ بَعْدِهِمْ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَ لِاِخْوَانِنَا الَّذِیْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِیْمَانِ

 

অর্থ: ‘যারা তাদের (অর্থাৎ মুহাজির ও আনসারদের) পরে এসেছে। তারা বলে, হে আমাদের রব! ক্ষমা করুন আমাদের এবং আমাদের সেই ভাইদেরও যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে’। (সূরা: হাশর, আয়াত: ১০)

 

হাদিস শরিফে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, সাদ ইবনে উবাদার (রা.) অনুপস্থিতিতে তার মা ইন্তেকাল করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমার মা মারা গেছেন। আমি যদি তার পক্ষ থেকে সদকা করি, তবে কি তার কোনো উপকারে আসবে? নবীজি (সা.) বললেন, হ্যাঁ। সাদ (রা.) বললেন, আমি আপনাকে সাক্ষী রাখছি যে, আমি আমার ‘মিখরাফ’ নামের বাগানটি আমার মায়ের জন্য সদকা করে দিলাম। (সহিহ বুখারি: ২৭৫৬)

 

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

মৃতদের জন্য সওয়াব পৌঁছানোর ২ সুন্নত পদ্ধতি

সর্বশেষ আপডেট : ১২:২৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রতিটি মানুষকে নির্ধারিত সময়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতেই হবে। চিরঞ্জীব ও চিরন্তন কেবল মাত্র মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা।

 

রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন, كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۖ فَمَن زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ ۗ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ

 

অর্থ: ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়’। (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৮৫)

 

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَنَبْلُوكُم بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً ۖ وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ

 

অর্থ: ‘প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদের মন্দ ও ভালো দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং তোমরা আমার কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে’। (সূরা: আম্বিয়া, আয়াত: ৩৫)

 

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও’। (সূরা: আন নিসা, আয়াত: ৭৮)

 

মৃতের কাছে সওয়াব পৌঁছানোর ২ সুন্নত পদ্ধতি

 

মৃতের আত্মায় সওয়াব পৌছানো বা তার উপকারে আসার সুন্নত ২টি পদ্ধতি হলো মৃতের জন্য দোয়া করা এবং সদকা করা।

 

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবিদের থেকে বহু সূত্রে মৃতের জন্য এ ২টি আমলের কথা বর্ণিত রয়েছে।

 

পবিত্র কোরআনুল কারিমে পূর্ববর্তী মুসলমানদের জন্য পরবর্তী মুসলমানদের ক্ষমা প্রার্থনা করার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَ الَّذِیْنَ جَآءُوْ مِنْۢ بَعْدِهِمْ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَ لِاِخْوَانِنَا الَّذِیْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِیْمَانِ

 

অর্থ: ‘যারা তাদের (অর্থাৎ মুহাজির ও আনসারদের) পরে এসেছে। তারা বলে, হে আমাদের রব! ক্ষমা করুন আমাদের এবং আমাদের সেই ভাইদেরও যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে’। (সূরা: হাশর, আয়াত: ১০)

 

হাদিস শরিফে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, সাদ ইবনে উবাদার (রা.) অনুপস্থিতিতে তার মা ইন্তেকাল করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমার মা মারা গেছেন। আমি যদি তার পক্ষ থেকে সদকা করি, তবে কি তার কোনো উপকারে আসবে? নবীজি (সা.) বললেন, হ্যাঁ। সাদ (রা.) বললেন, আমি আপনাকে সাক্ষী রাখছি যে, আমি আমার ‘মিখরাফ’ নামের বাগানটি আমার মায়ের জন্য সদকা করে দিলাম। (সহিহ বুখারি: ২৭৫৬)