অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটি ফ্যাসিষ্ট দল। এই ফ্যাসিবাদী দলের বাংলাদেশে বিক্ষোভ,সভা-সমাবেশ করার কোনো সুযোগ নেই।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এসব কথা জানান তিনি।
শফিকুল আলম ওই পোস্টে আরও বলেন, গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশ নিয়ে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পূর্ণাঙ্গ মোকাবেলা করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের কোনো প্রচেষ্টাকে বরদাস্ত করবে না।
পোস্টের কমেন্ট বক্সে মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান,শফিউল আলমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভাই, এটা তো বুঝলেনই নাহ। কিন্তু সময় নিলেন তিন মাস। নিকৃষ্টতম অপরাধীদের পালাতে দিয়ে। এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ হতে কোনো ধরনের মামলা ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে দেয়া হয়নি।
সরকার মনে করছে, গান্ধীবাদী অহিংস রাজনীতি দিয়ে ফ্যাসিবাদীদের হেদায়েত করানো যাবে।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নামের আরেকজন লিখেছেন, একদম। আপনারা একটু নমনীয় হলেই এরা ঘাড়ে উঠে বসতে চাইবে। কোনো সুযোগ নাই, দেয়াও যাবে না। ফ্যাসিবাদ নিশ্চিহ্ন হবে। ইনশা আল্লাহ।
মেহেদী হাসান বলেন, হাসিনা যে দিল্লী থেকে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাইতেছে, এর মূল কারণ- আপনারা এই সরকার। you have taken it very lightly. আপ্নেরা প্রায় কিছুই করতেছেন না।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, বিএনপি কখনো আইনবিরোধী কাজে সমর্থন করে না। ফ্যাসিবাদীদের আশীর্বাদপুষ্ট সুযোগ-সন্ধানী কোন নেতার আপাতত বিএনপিতে স্থান হবে না।
রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় শহীদ নূর হোসেন দিবসে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে দলটি এই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। দলটির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
দেশব্যাপী সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি পালনেরও আহ্বান জানানো হয় আওয়ামী লীগের ওই বিজ্ঞপ্তিতে।