০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়ের জন্য শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ১৫ রান।

আয়ারল্যান্ড ইনিংসের ১৯তম ওভার শেষে ম্যাচটা পুরোপুরি হেলে গিয়েছিল বাংলাদেশের দিকে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ১৫ রান। আগের ১০ ওভারে রীতিমতো সংগ্রাম করে ৪৬ রান তোলা আয়ারল্যান্ড শেষ ওভারে ১৫ রানের সমীকরণ মেলাবে-এমনটা বিশ্বাস করার লোক খুঁজে পাওয়া ছিল দুষ্কর।

তারওপর স্বর্ণা আক্তারের ওভারের প্রথম বলে দুইবার প্রান্ত বদল করতে গিয়ে আরলেনে কেলির রান আউট বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করে।

বাংলাদেশ তখন জয়ের ক্ষণই গুণছে। ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচে দিয়ে বেঁচে যান লরা ডেলেনি। ওই ক্যাচ মিসের মাশুলই দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ওই মিসে দুই রান পায় আয়ারল্যান্ড। জীবন পেয়ে পরের তিন বলে তিন চার মেরে আয়ারল্যান্ডের জয়ের সমীকরণ মিলিয়ে দেন ডেলেনি (৩১ বলে ৩৬ রান)। ইনিংসের ১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় আইরিশরা। একইসঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের হোয়াইটওয়াশ করল সফরকারীরা।

অবশ্য আয়ারল্যান্ডের লক্ষ্যটা আহামরি ছিল না। আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত বিশ ওভারে ৭ উইকেটে মোটে ১২৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। রান তাড়ায় দুই আইরিশ ওপেনার অ্যামি হান্টার ও গ্যাবি লুইসের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই বিনা উইকেটে ৫০ পেরিয়ে যায় সফরকারীরা। মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা  আয়ারল্যান্ড হেসেখেলে জিতে যাচ্ছে।

এরপরই গল্পে বড় বাঁকবদল। বিনা উইকেটে ৫৫ রান থেকে মুহূর্তেই ৭০/৪ হয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের স্কোরবোর্ড। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে ভালো ভাবেই ঘুরে দাঁড়ান নাহিদা-স্বর্ণারা। ম্যাচের পাল্লা তখন দুদিকেই সমান। মাঝ ওভারে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে রান তুলতে যেভাবে সংগ্রাম করছিলেন আইরিশ ব্যাটসম্যানরা, তাতে স্বাগতিকদের পক্ষে বাজি ধরার লোকই হয়তো বেশি ছিলেন।

ডেলেনি ও রেবেকা স্টোকেলের পঞ্চম উইকেট জুটির ৪০ বলে ৩৩ রানের সুবাদে ম্যাচে টিকে ছিল আইরিশরা। তবে ইনিংসের ১৮তম ওভারের প্রথম বলে রেবেকাকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন নাহিদা। জয়ের জন্য ১১ বলে ২১ রান দরকার ছিল আইরিশদের। নাহিদার ১৯তম ওভার থেকে ৬ রান এলে শেষ ওভারে আইরিশদের দরকার ছিল ১৫ রান। এরপর নাটকীয়ভাবে জিতে যায় সফরকারীরা।

ম্যাচটা আয়ারল্যান্ড জিতলেও ব্যাটিংয়ে একই বিন্দুতে মিলে গিয়েছিল দুদল। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ইনিংসের ১৩ ওভারে ১ উইকেটে ১০০ রানে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে শেষ ৭ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে আর ২৩ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। সোবহানা মোস্তারির ৪৫, শারমিন আক্তার সুপ্তার ৩৪ ও মুরশিদা খাতুনের ১২- টপ অর্ডারের এই তিন ব্যাটার ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি স্বাগতিকদের।

আয়ারল্যান্ডও যেন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে অনুসরণ  করে আজ। দুই ওপেনার অ্যামি হান্টার (২৮) ও গ্যাবি লুইসের (২১) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনীয় জুটিতে ৫৫ রান পায় আয়ার‍ল্যান্ড। এরপর ২৪ বলের ব্যবধানে একে একে বিদায় নেন অ্যামি, লুইস, লিহাহ পল (০) ও ওরলা গ্রেনডারগাস্ট।

তবে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার ধসে পড়লেও আইরিশদের মিডল অর্ডারের হাল ধরেন লরা ডেলেনি ও কেলি। এর মধ্যে কেলি ১৯ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরলেও দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ডেলেনি।

 

জনপ্রিয় খবর

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

জয়ের জন্য শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ১৫ রান।

সর্বশেষ আপডেট : ০৮:১৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আয়ারল্যান্ড ইনিংসের ১৯তম ওভার শেষে ম্যাচটা পুরোপুরি হেলে গিয়েছিল বাংলাদেশের দিকে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ১৫ রান। আগের ১০ ওভারে রীতিমতো সংগ্রাম করে ৪৬ রান তোলা আয়ারল্যান্ড শেষ ওভারে ১৫ রানের সমীকরণ মেলাবে-এমনটা বিশ্বাস করার লোক খুঁজে পাওয়া ছিল দুষ্কর।

তারওপর স্বর্ণা আক্তারের ওভারের প্রথম বলে দুইবার প্রান্ত বদল করতে গিয়ে আরলেনে কেলির রান আউট বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করে।

বাংলাদেশ তখন জয়ের ক্ষণই গুণছে। ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচে দিয়ে বেঁচে যান লরা ডেলেনি। ওই ক্যাচ মিসের মাশুলই দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ওই মিসে দুই রান পায় আয়ারল্যান্ড। জীবন পেয়ে পরের তিন বলে তিন চার মেরে আয়ারল্যান্ডের জয়ের সমীকরণ মিলিয়ে দেন ডেলেনি (৩১ বলে ৩৬ রান)। ইনিংসের ১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় আইরিশরা। একইসঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের হোয়াইটওয়াশ করল সফরকারীরা।

অবশ্য আয়ারল্যান্ডের লক্ষ্যটা আহামরি ছিল না। আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত বিশ ওভারে ৭ উইকেটে মোটে ১২৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। রান তাড়ায় দুই আইরিশ ওপেনার অ্যামি হান্টার ও গ্যাবি লুইসের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই বিনা উইকেটে ৫০ পেরিয়ে যায় সফরকারীরা। মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা  আয়ারল্যান্ড হেসেখেলে জিতে যাচ্ছে।

এরপরই গল্পে বড় বাঁকবদল। বিনা উইকেটে ৫৫ রান থেকে মুহূর্তেই ৭০/৪ হয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের স্কোরবোর্ড। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে ভালো ভাবেই ঘুরে দাঁড়ান নাহিদা-স্বর্ণারা। ম্যাচের পাল্লা তখন দুদিকেই সমান। মাঝ ওভারে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে রান তুলতে যেভাবে সংগ্রাম করছিলেন আইরিশ ব্যাটসম্যানরা, তাতে স্বাগতিকদের পক্ষে বাজি ধরার লোকই হয়তো বেশি ছিলেন।

ডেলেনি ও রেবেকা স্টোকেলের পঞ্চম উইকেট জুটির ৪০ বলে ৩৩ রানের সুবাদে ম্যাচে টিকে ছিল আইরিশরা। তবে ইনিংসের ১৮তম ওভারের প্রথম বলে রেবেকাকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন নাহিদা। জয়ের জন্য ১১ বলে ২১ রান দরকার ছিল আইরিশদের। নাহিদার ১৯তম ওভার থেকে ৬ রান এলে শেষ ওভারে আইরিশদের দরকার ছিল ১৫ রান। এরপর নাটকীয়ভাবে জিতে যায় সফরকারীরা।

ম্যাচটা আয়ারল্যান্ড জিতলেও ব্যাটিংয়ে একই বিন্দুতে মিলে গিয়েছিল দুদল। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ইনিংসের ১৩ ওভারে ১ উইকেটে ১০০ রানে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে শেষ ৭ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে আর ২৩ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। সোবহানা মোস্তারির ৪৫, শারমিন আক্তার সুপ্তার ৩৪ ও মুরশিদা খাতুনের ১২- টপ অর্ডারের এই তিন ব্যাটার ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি স্বাগতিকদের।

আয়ারল্যান্ডও যেন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে অনুসরণ  করে আজ। দুই ওপেনার অ্যামি হান্টার (২৮) ও গ্যাবি লুইসের (২১) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনীয় জুটিতে ৫৫ রান পায় আয়ার‍ল্যান্ড। এরপর ২৪ বলের ব্যবধানে একে একে বিদায় নেন অ্যামি, লুইস, লিহাহ পল (০) ও ওরলা গ্রেনডারগাস্ট।

তবে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার ধসে পড়লেও আইরিশদের মিডল অর্ডারের হাল ধরেন লরা ডেলেনি ও কেলি। এর মধ্যে কেলি ১৯ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরলেও দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ডেলেনি।