০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলন-সংগঠন তলানিতে, উদ্বেগ কলকাতার সিপিএমে

সাম্প্রতিক সব নির্বাচনে গ্রামাঞ্চলে একচেটিয়া ভোট পেয়েছে শাসক দল। তুলনায় শহরাঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসমর্থনে কিছুটা ভাটা দেখা গিয়েছে। শাসক দলে যখন শহরের ভোট এবং তার জেরে সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে চর্চা, সেই সময়ে খাস কলকাতার সংগঠন চিন্তা বাড়াচ্ছে বিরোধী দল সিপিএমের। দলের একাংশের আশঙ্কা, আন্দোলন ও সংগঠনের জোর না-বাড়লে আগামী পুরভোটে কলকাতায় আরও বিপন্ন হতে হবে বামেদের।

নতুন বছরে সিপিএমের প্রথম জেলা সম্মেলন হতে চলেছে কলকাতার। দলের কলকাতা জেলা দফতর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে আগামী ৪ থেকে ৬ জানুয়ারি ওই সম্মেলন হওয়ার কথা। কলকাতা জেলা সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বেরও। তবে সূত্রের খবর, শহরে সাম্প্রতিক কালে কলকাতা জেলা সিপিএমের কাজকর্মে অসন্তোষ রয়েছে দলের একাংশের। তার প্রতিফলন ঘটতে পারে সম্মেলনেও। কলকাতা জেলা সিপিএমেরই একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় ভাবে ঠিক করে দেওয়া কর্মসূচির আয়োজন করা বাদে জেলার নিজস্ব আন্দোলন, কর্মসূচি তেমন কিছু থাকছে না। এত বড় শহরের নানা অংশের মানুষের স্থানীয় সমস্যা ধরে আন্দোলন করতে না-পারলে পুরভোটের মতো স্থানীয় নির্বাচনে আরও কল্কে পাওয়া যাবে না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সঙ্কটে পড়তে হবে।

দলীয় সূত্রের বক্তব্য, গত পুরভোটে শাসক দলের ‘সন্ত্রাস’ ছাড়াও বেশ কিছু এলাকায় বুথে স্থানীয় কর্মী দিতে পারেনি সিপিএম। এ বারের জেলা সম্মেলনে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক খসড়া প্রতিবেদনের সূত্রে সেই বিষয় আসতে পারে আলোচনায়। পুরভোটের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পার্ট নম্বরের বাসিন্দা কাউকেই বুথে বসানোর কথা ছিল। কিন্তু বাইরের কোনও ‘চাপ’ ছাড়াও বুথ স্তরে ভোটের দিন কাজ করতে অনেক জায়গাতেই সিপিএমের কর্মীদের উৎসাহ দেখা যায়নি। এখন থেকে স্থানীয় আন্দোলন ও সক্রিয়তায় জোর না-দিলে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হবে বলে দলের একাংশের আশঙ্কা।

অভিনেত্রী ও গায়িকা জিনাত সানু স্বাগতার একটি বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় নেটদুনিয়ায়।

আন্দোলন-সংগঠন তলানিতে, উদ্বেগ কলকাতার সিপিএমে

সর্বশেষ আপডেট : ০৯:৪০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

সাম্প্রতিক সব নির্বাচনে গ্রামাঞ্চলে একচেটিয়া ভোট পেয়েছে শাসক দল। তুলনায় শহরাঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসমর্থনে কিছুটা ভাটা দেখা গিয়েছে। শাসক দলে যখন শহরের ভোট এবং তার জেরে সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে চর্চা, সেই সময়ে খাস কলকাতার সংগঠন চিন্তা বাড়াচ্ছে বিরোধী দল সিপিএমের। দলের একাংশের আশঙ্কা, আন্দোলন ও সংগঠনের জোর না-বাড়লে আগামী পুরভোটে কলকাতায় আরও বিপন্ন হতে হবে বামেদের।

নতুন বছরে সিপিএমের প্রথম জেলা সম্মেলন হতে চলেছে কলকাতার। দলের কলকাতা জেলা দফতর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে আগামী ৪ থেকে ৬ জানুয়ারি ওই সম্মেলন হওয়ার কথা। কলকাতা জেলা সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বেরও। তবে সূত্রের খবর, শহরে সাম্প্রতিক কালে কলকাতা জেলা সিপিএমের কাজকর্মে অসন্তোষ রয়েছে দলের একাংশের। তার প্রতিফলন ঘটতে পারে সম্মেলনেও। কলকাতা জেলা সিপিএমেরই একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় ভাবে ঠিক করে দেওয়া কর্মসূচির আয়োজন করা বাদে জেলার নিজস্ব আন্দোলন, কর্মসূচি তেমন কিছু থাকছে না। এত বড় শহরের নানা অংশের মানুষের স্থানীয় সমস্যা ধরে আন্দোলন করতে না-পারলে পুরভোটের মতো স্থানীয় নির্বাচনে আরও কল্কে পাওয়া যাবে না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সঙ্কটে পড়তে হবে।

দলীয় সূত্রের বক্তব্য, গত পুরভোটে শাসক দলের ‘সন্ত্রাস’ ছাড়াও বেশ কিছু এলাকায় বুথে স্থানীয় কর্মী দিতে পারেনি সিপিএম। এ বারের জেলা সম্মেলনে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক খসড়া প্রতিবেদনের সূত্রে সেই বিষয় আসতে পারে আলোচনায়। পুরভোটের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পার্ট নম্বরের বাসিন্দা কাউকেই বুথে বসানোর কথা ছিল। কিন্তু বাইরের কোনও ‘চাপ’ ছাড়াও বুথ স্তরে ভোটের দিন কাজ করতে অনেক জায়গাতেই সিপিএমের কর্মীদের উৎসাহ দেখা যায়নি। এখন থেকে স্থানীয় আন্দোলন ও সক্রিয়তায় জোর না-দিলে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হবে বলে দলের একাংশের আশঙ্কা।