০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজা সংকট উত্তরনে কী কী করছে তুরস্ক, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, আমাদের উচিত ইসরাইলকে ১৯৬৭ সালের সীমানা মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো। শুধু হামাস নয়, সমস্ত ফিলিস্তিনি জনগণ ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সম্মত।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আল আরাবিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোববার এ কথা বলেছেন হাকান ফিদান।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি এই ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা না নেই এবং সংকট সমাধানে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অনুসরণ না করি, তবে এটি শেষ গাজা যুদ্ধ হবে না। বরং আরও যুদ্ধ এবং আরও অশ্রু আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে।’

রিয়াদ-ভিত্তিক চ্যানেলটিকে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের অগ্রাধিকার হচ্ছে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং এ বিষয়ে কাতারের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।

‘একদিকে আমরা মানবিক সাহায্যের প্রবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, এবং অন্যদিকে আমরা একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করার চেষ্টা করছি, যাকে আমরা একটি কৌশলগত এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হিসেবে দেখি,’ বলেন ফিদান।

যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য মিশর ও কাতারের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ফলাফল না পাওয়ার অর্থ এই নয় যে, আলোচনা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়েছে।

‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে এটি একটি কঠিন সমস্যা,’ বলেন ফিদান। তাছাড়া ইসরাইল একটি চুক্তি বা সমঝোতায় পৌঁছাতে অনীহা দেখাচ্ছে।

তুরস্ক হামাস-সহ ফিলিস্তিনি পক্ষকে সম্ভাব্য সব ধরনের সমর্থন প্রদান করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আঙ্কারা ‘আলোচনায় ইতিবাচক ও গঠনমূলক অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত’।

ফিদান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যুদ্ধবিরতি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘তুরস্ক হিসেবে আমরা বিশেষ করে এই দুটি বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্রীভূত করেছি।’

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

গাজা সংকট উত্তরনে কী কী করছে তুরস্ক, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সর্বশেষ আপডেট : ০৭:২৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, আমাদের উচিত ইসরাইলকে ১৯৬৭ সালের সীমানা মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো। শুধু হামাস নয়, সমস্ত ফিলিস্তিনি জনগণ ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সম্মত।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আল আরাবিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোববার এ কথা বলেছেন হাকান ফিদান।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি এই ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা না নেই এবং সংকট সমাধানে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অনুসরণ না করি, তবে এটি শেষ গাজা যুদ্ধ হবে না। বরং আরও যুদ্ধ এবং আরও অশ্রু আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে।’

রিয়াদ-ভিত্তিক চ্যানেলটিকে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের অগ্রাধিকার হচ্ছে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং এ বিষয়ে কাতারের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।

‘একদিকে আমরা মানবিক সাহায্যের প্রবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, এবং অন্যদিকে আমরা একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করার চেষ্টা করছি, যাকে আমরা একটি কৌশলগত এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হিসেবে দেখি,’ বলেন ফিদান।

যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য মিশর ও কাতারের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ফলাফল না পাওয়ার অর্থ এই নয় যে, আলোচনা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়েছে।

‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে এটি একটি কঠিন সমস্যা,’ বলেন ফিদান। তাছাড়া ইসরাইল একটি চুক্তি বা সমঝোতায় পৌঁছাতে অনীহা দেখাচ্ছে।

তুরস্ক হামাস-সহ ফিলিস্তিনি পক্ষকে সম্ভাব্য সব ধরনের সমর্থন প্রদান করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আঙ্কারা ‘আলোচনায় ইতিবাচক ও গঠনমূলক অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত’।

ফিদান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যুদ্ধবিরতি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘তুরস্ক হিসেবে আমরা বিশেষ করে এই দুটি বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্রীভূত করেছি।’