পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ” রেমাল” এর তাণ্ডবে আধাঁপাকা, কাচা ঘর বাড়ি, সড়ক মহাসড়ক,গ্রামীন রাস্তাঘাট ও নদী সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নদীর অতিরিক্ত জোয়ারে তলিয়ে গেছে ৮ শত ৮৫ হেক্টোর কৃষি আবাদী রবিশস্য, যার বাজার মূল্যে প্রায় ১৮ কোটি। এছাড়া ভাড়ি বৃষ্টি আর বর্জ্র পাতের আঘাতে গোলখালী ইউনিয়নে নলুয়াবাগীর বাদুরা গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মাঠ থেকে গোয়াল ঘরে গরু তুলতে গিয়ে নাসির গোলদারের ছেলে, রুবেল গোলদার (৩০) নামের একজন বজ্রপাতে নিহত হয়। চরকাজল ইউনিয়নে বর্জ্র পাতে তিনটি মহিষ ও গাছের নিচে চাপা পরে একটি গরু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অপর দিকে চিকনিকান্দী ইউনিয়নের হাইওয়ে সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি বহু ঘরবাড়ি রবিশস্য পানিতে তলিয়ে গেছে। পানপট্রি, রতনদিতালতলী, চিকনিকান্দী, ডাকুয়া, কলাগাছিয়া, আমখোলা, গলাচিপা- সদর, চরকাজল, চরবিশ্বাস উপকূলীয় ইউনিয়নে এলাকায় বহু ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে নিন্ম অঞ্চলের জনসাধারণ মুজিব কেল্লা ও প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও নগদ অর্থ সহযোগীতা করছেন। পাশাপাশি ঘূর্ণি ঝড় রেমাল এর ক্ষয়ক্ষতির সর্বশেষ খবরাখবর রাখার জন্য উপজেলা মিলনায়তন হলে একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
আশ্রয়ার্থীদের জানমাল নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিপি, রেডক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগীতায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান।
গত ২৬ মে থেকে “রেমাল” এর প্রভাবে ঝড়হাওয়া ও সাভাবিক বৃষ্টির প্রভাবে ব্যপক গাছপালা ভেঙে পরেছে, ভাড়ি বৃষ্টিতে এবং জলোস্বাসে বিভিন্ন নিচু এলাকায় মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিপর্যয়ে রয়েছে পুরো উপজেলাবাসী। বন্ধ রয়েছে সকল প্রাথমিক সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান পরিক্ষা।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ” রেমাল” এর তান্তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সরজমিনে বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় পরিদর্শনের জন্য *আগামী ৩০ মে ২০২৪ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় “রিমাল”এ ক্ষতিগ্রস্ত কলাপাড়া এলাকা পরিদর্শনে আসবেন বলে জানা গেছে।