০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুব একটা আশাবাদী হইনি এই বাজেট দেখে: মেনন

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমি খুব একটা আশাবাদী হইনি এই বাজেট দেখে। বর্তমান যে বাস্তবতা, সেই বাস্তবতায় সংকট নিরসনে; জনজীবনে যে সংকটগুলো রয়েছে, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত বিবরণীতে কী আছে আমি জানি না। কারণ আমরা সংক্ষিপ্ত বিবরণী দেখেছি।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজেট উপস্থাপন শেষে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন, ‘এমন কোনো সাহসী পদক্ষেপ আমরা দেখিনি, যার মধ্য দিয়ে অর্থপাচার, ব্যাংকিংখাতে নৈরাজ্য থেকে শুরু করে- যেমন দুর্নীতির প্রশ্নে আলোচনাই এর মধ্যে আসেনি। অর্থনৈতিক নৈরাজ্য, ব্যাংকিংখাতে যে নৈরাজ্য চলছে এ বিষয়গুলো খুব একটা আলোচনার মধ্যে আসেনি।’

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হলো, দায়টা জনগণের ওপর রেখে দেওয়া হয়েছে। জনগণ নিজেরা সমাধান করুক, এ ধরনের একটা জায়গায় রয়ে গেছে বাজেট। আমার কাছে মনে হয়েছে অতীতের ধারাবাহিকতার সঙ্গে পার্থক্য খুব একটা নেই।’

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, তার মধ্যে বিস্তারিত নেই। তবে আমরা জানি যে, আইএমএফের শর্ত পূরণ করা ছাড়া এই বাজেট তারা (সরকার) দিতে পারেনি।’

আজ বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকছে।

জনপ্রিয় খবর

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

খুব একটা আশাবাদী হইনি এই বাজেট দেখে: মেনন

সর্বশেষ আপডেট : ০১:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমি খুব একটা আশাবাদী হইনি এই বাজেট দেখে। বর্তমান যে বাস্তবতা, সেই বাস্তবতায় সংকট নিরসনে; জনজীবনে যে সংকটগুলো রয়েছে, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত বিবরণীতে কী আছে আমি জানি না। কারণ আমরা সংক্ষিপ্ত বিবরণী দেখেছি।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজেট উপস্থাপন শেষে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন, ‘এমন কোনো সাহসী পদক্ষেপ আমরা দেখিনি, যার মধ্য দিয়ে অর্থপাচার, ব্যাংকিংখাতে নৈরাজ্য থেকে শুরু করে- যেমন দুর্নীতির প্রশ্নে আলোচনাই এর মধ্যে আসেনি। অর্থনৈতিক নৈরাজ্য, ব্যাংকিংখাতে যে নৈরাজ্য চলছে এ বিষয়গুলো খুব একটা আলোচনার মধ্যে আসেনি।’

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হলো, দায়টা জনগণের ওপর রেখে দেওয়া হয়েছে। জনগণ নিজেরা সমাধান করুক, এ ধরনের একটা জায়গায় রয়ে গেছে বাজেট। আমার কাছে মনে হয়েছে অতীতের ধারাবাহিকতার সঙ্গে পার্থক্য খুব একটা নেই।’

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, তার মধ্যে বিস্তারিত নেই। তবে আমরা জানি যে, আইএমএফের শর্ত পূরণ করা ছাড়া এই বাজেট তারা (সরকার) দিতে পারেনি।’

আজ বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকছে।