০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরে বাড়ছে পানি, সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

সুনামগঞ্জে নদীর পানি কমলেও হাওর অঞ্চল ও পৌর শহরের পাড়া-মহল্লায় বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সকাল ৯ টায় বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার বা ২.২৩ ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এদিকে আজ বুধবার (১৯ জুন) সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৪০ সে.মি উপর দিয়ে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তেমন বৃষ্টি হয়নি। তবে ভোর থেকে একটানা বৃষ্টিপাত  হচ্ছে। এতে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন পাড়া, শান্তিবাগ ধোপাখালী, বাঁধনপাড়া, বলাকা, মোহাম্মদপুর, ষোলঘর, নবীনগর, কাজীর পয়েন্ট সহ বিভিন্ন এলাকায় পানি বেড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, একতালা বা কাঁচা ঘরে থাকা মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। গতকাল রাত থেকেই অনেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। সকলের চোখে মুখে ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার আতংক। তবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন  আয়ের মানুষজন। ঝাওয়ার হাওরের পাশে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষের ঘরের চাল ছুঁইছুঁই পানি। পরিবার পরিজন নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যাচ্ছেন তারা। এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন।

পাহাড়ি ঢল নেমে আগে থেকেই প্লাবিত ছিল সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, মধ্যনগর, দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে বেশি এফেক্টেড হয়েছে ছাতক দোয়ারাবাজার, সদর উপজেলসুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী
প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সে.মি  উপর দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ছাতক উপজেলায় বিপৎসীমার ১৪৬ সে.মি  উপর দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও দিরাই উপজেলায় ১৬ সে.মি  উপর দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১০০ মি.মি, লাউড়ের গড়ে ৭৮ মি.মি, ছাতকে ৮৪ মি.মি এবং দিরাইয়ে ৭৭ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়েছে। নদীর পানি কমলেও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পানি বাড়তে পারে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশংকা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, জেলায় বানবাসী মানুষের জন্য জেলায় ৫১৬টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষের জন্য শুকনা খাবার, রান্না করা খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে।
জনপ্রিয় খবর

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

হাওরে বাড়ছে পানি, সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

সর্বশেষ আপডেট : ০৫:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

সুনামগঞ্জে নদীর পানি কমলেও হাওর অঞ্চল ও পৌর শহরের পাড়া-মহল্লায় বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সকাল ৯ টায় বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার বা ২.২৩ ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এদিকে আজ বুধবার (১৯ জুন) সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৪০ সে.মি উপর দিয়ে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তেমন বৃষ্টি হয়নি। তবে ভোর থেকে একটানা বৃষ্টিপাত  হচ্ছে। এতে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন পাড়া, শান্তিবাগ ধোপাখালী, বাঁধনপাড়া, বলাকা, মোহাম্মদপুর, ষোলঘর, নবীনগর, কাজীর পয়েন্ট সহ বিভিন্ন এলাকায় পানি বেড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, একতালা বা কাঁচা ঘরে থাকা মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। গতকাল রাত থেকেই অনেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। সকলের চোখে মুখে ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার আতংক। তবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন  আয়ের মানুষজন। ঝাওয়ার হাওরের পাশে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষের ঘরের চাল ছুঁইছুঁই পানি। পরিবার পরিজন নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যাচ্ছেন তারা। এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন।

পাহাড়ি ঢল নেমে আগে থেকেই প্লাবিত ছিল সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, মধ্যনগর, দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে বেশি এফেক্টেড হয়েছে ছাতক দোয়ারাবাজার, সদর উপজেলসুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী
প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সে.মি  উপর দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ছাতক উপজেলায় বিপৎসীমার ১৪৬ সে.মি  উপর দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও দিরাই উপজেলায় ১৬ সে.মি  উপর দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১০০ মি.মি, লাউড়ের গড়ে ৭৮ মি.মি, ছাতকে ৮৪ মি.মি এবং দিরাইয়ে ৭৭ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়েছে। নদীর পানি কমলেও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পানি বাড়তে পারে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশংকা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, জেলায় বানবাসী মানুষের জন্য জেলায় ৫১৬টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষের জন্য শুকনা খাবার, রান্না করা খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে।