অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের বড় বড় রোগ মুক্ত করতে সহায়তা করে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এটি এমন কিছু ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে দেয় যা শরীরের জন্য উপকারী। তার মানে এই নয় যে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। কিন্তু এর ফলে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে সে ব্যাপারে বাড়তি কিছু যত্নেরও প্রয়োজন আছে। অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছেন টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার।
মানুষের দেহে ভালো খারাপ দুই রকম ব্যাকটেরিয়ায় বিদ্যমান। ভালো ব্যাকটেরিয়া শরীরকে একটি ভারসাম্যের মধ্যে রাখে। অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা। এটা ভালো না খারাপ সেটা অ্যান্টিবায়োটিক বুঝতে পারে না।
শরীরের অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো খাবার হজম করা থেকে শুরু করে ক্ষতিকর ভাইরাস, পরজীবী থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজের মত করে প্রয়োজন ছাড়া খেয়ে ফেললে অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়াও মরে যায়। আর ভাল ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়। তখন দেখা যায় যে রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দরকার সেটা আর কাজ করে না। এর কার্যকারিতা কমতে থাকে।
অ্যান্টিবায়োটিকের পরে প্রো-বায়োটিক গ্রহণ করলে হজমে সহায়তা করে এবং ডায়রিয়াসহ পার্শ্ব প্রতিক্রিয় কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অনেকের তাৎক্ষণিকভাবে শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন ধরনের জটিলতা, বমি, ডায়রিয়া হতে পারে। কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে অনেকের গলা, গালে, মুখের তালুতে বা জিহ্বায় সাদা দাগ পড়তে পারে। শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, ঠোঁট, মুখ ফুলে যাওয়ার মতো অ্যালার্জিজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে ।