মিনিস্ট্রি অডিটের নামে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়। এবার ঘুষ থেকে প্রতিকার পেতে অডিটরদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
বিষয়টি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে বুধবার (৩ জুলাই) রাতে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। তার ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, ‘এই মেইলটি আমাকে দেয়া হয়েছে, কেউ কি কোনো ব্যবস্থা নেবেন।’
ব্যারিস্টার সুমন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য হলেও তার কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ৮টি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, ‘অডিটের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ঘুষ দাবি করেন অডিটররা। এ বিষয়ে পরবর্তীতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান প্রধান কুলিয়ারচর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কতিপয় শিক্ষক নেতার সঙ্গে সভা করে কোনো প্রকার প্রতিবাদের ব্যবস্থা না নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন, প্রত্যেক শিক্ষক তাদের এক মাসের এমপিও বাবদ যে বেতন-ভাতা পান, তার অর্ধেক টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে, যা অডিটরদের কাছে আগামী ১০ জুলাই হস্তান্তর করা হবে।’
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: বেগম নূরুন্নাহার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এমাদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষীপুর দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়, ছয়সূতী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, আগোরপুর গোকূল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, মুসা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বীর কাসিম নগর ফিদুল্লা উচ্চ বিদ্যালয় এবং সালুয়া দাখিল মাদ্রাসা।
শিক্ষকরা অভিযোগে বলেন, এ বিষয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরাও একমত পোষণ করে কোনো প্রকার প্রতিবাদ না করে ঘুষের টাকা জমা দেয়ার জন্য সাধারণ শিক্ষকদের নির্দেশ দেন। এমতাবস্থায় এ থেকে ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষকসমাজ মুক্তি চাই এবং বিষয়টি যাচাই করে দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবি জানাই।’
কিশোরগঞ্জের ঘটনায় হবিগঞ্জের সংসদ সদস্যের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করার প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে, আপনি হবিগঞ্জ-৪ আসনের এমপি হওয়ার পরও আপনার শরণাগত হয়েছি; কারণ আপনি আমাদের দেশের একজন সাহসী নেতা।’ একই সঙ্গে আবেদনকারীর পরিচয় গোপন রাখার জন্যেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।