০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলে গেলেন সংগীতশিল্পী আবিদুর রেজা জুয়েল

চলে গেলেন দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। গায়কের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে শেষ ‍নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জুয়েল (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন)।

গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আবিদুর রেজা জুয়েল। নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল গায়ককে। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন গায়কের ভাই মহিবুর রেজা জুয়েল। তিনি জানান, আজ (৩০ জুলাই) গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আসর জানাজা শেষে বাদ মাগরিব বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

র আগে, ২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমেই সংক্রমিত হয়। বিগত ১৩ বছর ধরে সেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছেন জুয়েল। দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চলছিল তার চিকিৎসা।

জুয়েল তাঁর মা-বাবার অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিবেশী একজনের কাছে গান শিখেছিলেন আর মঞ্চে প্রথম গান করেছিলেন তখন তিনি পড়েন চতুর্থ শ্রেণিতে। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে।

জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে (১৯৯৪)’, ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। একটি করে গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আরও দুটি অ্যালবাম ‘তাতে কি বা আসে যায়’ (২০১৬) এবং ‘এই সবুজের ধানক্ষেত’ (২০১৬)। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি।

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

চলে গেলেন সংগীতশিল্পী আবিদুর রেজা জুয়েল

সর্বশেষ আপডেট : ১০:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

চলে গেলেন দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। গায়কের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে শেষ ‍নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জুয়েল (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন)।

গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আবিদুর রেজা জুয়েল। নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল গায়ককে। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন গায়কের ভাই মহিবুর রেজা জুয়েল। তিনি জানান, আজ (৩০ জুলাই) গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আসর জানাজা শেষে বাদ মাগরিব বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

র আগে, ২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমেই সংক্রমিত হয়। বিগত ১৩ বছর ধরে সেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছেন জুয়েল। দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চলছিল তার চিকিৎসা।

জুয়েল তাঁর মা-বাবার অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিবেশী একজনের কাছে গান শিখেছিলেন আর মঞ্চে প্রথম গান করেছিলেন তখন তিনি পড়েন চতুর্থ শ্রেণিতে। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে।

জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে (১৯৯৪)’, ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। একটি করে গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আরও দুটি অ্যালবাম ‘তাতে কি বা আসে যায়’ (২০১৬) এবং ‘এই সবুজের ধানক্ষেত’ (২০১৬)। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি।