০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তী সরকার, তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। একই সঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ওপর চাপানোর জন্য সামাজিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে ব্যাপকভাবে। বিশেষ করে প্রতিবেশী একটি দেশের কিছু কিছু নিউজ চ্যানেলসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করছে একটি চিহ্নিত মহল।

তিনি বলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপসানালয়কে টার্গেট করা হয়েছে বিশেষভাবে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। বিজয়ী সব শক্তি তথা জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায়ও তারা মরিয়া হয়ে লেগেছে।

আমরা আশাকরি ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন তথা সর্বস্তরের নাগরিকরা এ বিষয়ে সজাগ রয়েছেন। আমাদের দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এরইমধ্যে আমাদের সাধ্যমতো সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলছে। দলের নাম ব্যবহার করে যারাই এই ধরনের অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়বে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে,’ বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘তথাপি পরিস্থিতি ও পরিবেশের গভীরতা অনুভব করে দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি সব সহায়ক শক্তিকে আবারও সজাগ করতে চাই পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে। বিশেষভাবে আহ্বান করতে চাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের। আহ্বান রাখছি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যার যার স্থান থেকে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশপ্রেমিক প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য দল-মত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেট : ০৫:০৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তী সরকার, তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। একই সঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ওপর চাপানোর জন্য সামাজিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে ব্যাপকভাবে। বিশেষ করে প্রতিবেশী একটি দেশের কিছু কিছু নিউজ চ্যানেলসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করছে একটি চিহ্নিত মহল।

তিনি বলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপসানালয়কে টার্গেট করা হয়েছে বিশেষভাবে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। বিজয়ী সব শক্তি তথা জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায়ও তারা মরিয়া হয়ে লেগেছে।

আমরা আশাকরি ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন তথা সর্বস্তরের নাগরিকরা এ বিষয়ে সজাগ রয়েছেন। আমাদের দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এরইমধ্যে আমাদের সাধ্যমতো সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলছে। দলের নাম ব্যবহার করে যারাই এই ধরনের অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়বে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে,’ বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘তথাপি পরিস্থিতি ও পরিবেশের গভীরতা অনুভব করে দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি সব সহায়ক শক্তিকে আবারও সজাগ করতে চাই পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে। বিশেষভাবে আহ্বান করতে চাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের। আহ্বান রাখছি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যার যার স্থান থেকে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশপ্রেমিক প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য দল-মত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’