০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ৩৭ বছরের নারী

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ৩৭ বছর বয়সী এই নারী হতে যাচ্ছেন দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে আইনপ্রণেতারা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন। তার পক্ষে পড়ে ৩১৯টি ভোট এবং বিপক্ষে পড়ে ১৪৫টি।

পেতংতার্নের তার ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রার ছিলেন দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। এরপর পেতংতার্ন হতে যাচ্ছেন দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।

থাইল্যান্ডে এর আগের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে সাংবিধানিক আদালত পদচ্যুত করার মাত্র দুদিন পর পেতংতার্নকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করল পার্লামেন্ট। স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি জেলখাটা এক আইনজীবীকে মন্ত্রী নিয়োগ করে ‘নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘন’ করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফেউ থাই পার্টি প্রধানমন্ত্রী পদে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করেছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্রেথা এবং পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা। ২০২৩ সালের নির্বাচনে এই দল দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছিল। তবে তারা জোট সরকার গড়ে।

থাইল্যান্ডের অভিজাত স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন পেতংতার্ন। সিনাওয়াত্রা পরিবারের মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল গ্রুপে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। তার স্বামী ওই গ্রুপের উপপ্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত।

পেতংতার্ন ২০২১ সালে ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাকে দলনেতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত দুই দশকে থাইল্যান্ডে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী হতে চলা চতুর্থ সদস্য হচ্ছেন পেতংতার্ন। বাকি তিনজন সেনা অভ্যুত্থান কিংবা সাংবিধানিক আদালতের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন।

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। তিনি দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ এবং দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

পেতংতার্ন সদ্য বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। একজন অপরাধী ও বিতর্কিত ব্যক্তিকে মন্ত্রী নিয়োগের কারণে দেশটির শীর্ষ আদালত শ্রেথাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করেছে।

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিলিয়নিয়ার ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার কনিষ্ঠ সন্তান পেতংতার্ন। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি বাবা থাকসিন ও ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রার পর পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে দেশের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হবেন।

থাই পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন জোটের বর্তমানে ৩১৪টি আসন রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ৪৯৩ আসনের পার্লামেন্টে ২৪৭ জন সংসদ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। আজ শুক্রবার ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে থাই পার্লামেন্টে।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। কারাবরণ করা সাবেক এক আইনজীবীকে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দিয়ে তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে রায়ে বলা হয়েছে। এতে করে প্রধানমন্ত্রিত্ব পদ হারালেন থাভিসিন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

আদালত তার রায়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন একজন জেলখাটা আইনজীবীকে সরকারের দায়িত্বে নিয়োগ করে নৈতিকতা ভঙ্গ করেছেন। ৯ বিচারকের মধ্যে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তারা বলেছেন, তিনি জেনেশুনে একজন নীতি নৈতিকতাহীন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

৬৭ বছর বয়সী থাভিসিন এক বছরও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। গত বছরের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন স্রেথা। গত ১৬ বছরে আদালতের রায়ে ক্ষমতা হারানো তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি।

থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট থেকে নতুন কোনো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না করা পর্যন্ত তার স্থলে অন্তবর্তীকালীন একজন দায়িত্বপালন করবেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ৩৭ বছরের নারী

সর্বশেষ আপডেট : ০৪:৪২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ৩৭ বছর বয়সী এই নারী হতে যাচ্ছেন দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে আইনপ্রণেতারা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন। তার পক্ষে পড়ে ৩১৯টি ভোট এবং বিপক্ষে পড়ে ১৪৫টি।

পেতংতার্নের তার ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রার ছিলেন দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। এরপর পেতংতার্ন হতে যাচ্ছেন দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।

থাইল্যান্ডে এর আগের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে সাংবিধানিক আদালত পদচ্যুত করার মাত্র দুদিন পর পেতংতার্নকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করল পার্লামেন্ট। স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি জেলখাটা এক আইনজীবীকে মন্ত্রী নিয়োগ করে ‘নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘন’ করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফেউ থাই পার্টি প্রধানমন্ত্রী পদে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করেছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্রেথা এবং পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা। ২০২৩ সালের নির্বাচনে এই দল দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছিল। তবে তারা জোট সরকার গড়ে।

থাইল্যান্ডের অভিজাত স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন পেতংতার্ন। সিনাওয়াত্রা পরিবারের মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল গ্রুপে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। তার স্বামী ওই গ্রুপের উপপ্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত।

পেতংতার্ন ২০২১ সালে ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাকে দলনেতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত দুই দশকে থাইল্যান্ডে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী হতে চলা চতুর্থ সদস্য হচ্ছেন পেতংতার্ন। বাকি তিনজন সেনা অভ্যুত্থান কিংবা সাংবিধানিক আদালতের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন।

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। তিনি দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ এবং দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

পেতংতার্ন সদ্য বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। একজন অপরাধী ও বিতর্কিত ব্যক্তিকে মন্ত্রী নিয়োগের কারণে দেশটির শীর্ষ আদালত শ্রেথাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করেছে।

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিলিয়নিয়ার ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার কনিষ্ঠ সন্তান পেতংতার্ন। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি বাবা থাকসিন ও ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রার পর পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে দেশের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হবেন।

থাই পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন জোটের বর্তমানে ৩১৪টি আসন রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ৪৯৩ আসনের পার্লামেন্টে ২৪৭ জন সংসদ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। আজ শুক্রবার ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে থাই পার্লামেন্টে।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। কারাবরণ করা সাবেক এক আইনজীবীকে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দিয়ে তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে রায়ে বলা হয়েছে। এতে করে প্রধানমন্ত্রিত্ব পদ হারালেন থাভিসিন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

আদালত তার রায়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন একজন জেলখাটা আইনজীবীকে সরকারের দায়িত্বে নিয়োগ করে নৈতিকতা ভঙ্গ করেছেন। ৯ বিচারকের মধ্যে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তারা বলেছেন, তিনি জেনেশুনে একজন নীতি নৈতিকতাহীন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

৬৭ বছর বয়সী থাভিসিন এক বছরও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। গত বছরের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন স্রেথা। গত ১৬ বছরে আদালতের রায়ে ক্ষমতা হারানো তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি।

থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট থেকে নতুন কোনো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না করা পর্যন্ত তার স্থলে অন্তবর্তীকালীন একজন দায়িত্বপালন করবেন।