০৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলায় খাগড়াছড়িতে ৩ আসামী গ্রেফতার।

খাগড়াছড়ি জেলার সার্বিক আইন—শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও গতিশীল রাখার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার) ফৌজদারী মামলার আসামী গ্রেফতার, দীর্ঘদিনের বিলম্বিত পরোয়ানা তামিল, অভ্যাসগত চোর—ডাকাত চক্রের বর্তমান অবস্থান নির্ধারণ ও তথ্য সংগ্রহ সহ বিভিন্ন প্রকার উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে জেলার সকল পর্যায়ের অফিসার ও ফোর্সদের নিকট জোর তাগিদ প্রদান করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রামগড় থানার একাধিক চৌকস টিম এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে এজাহারনামীয় ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করে ।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ভিকটিম (৫০) এর স্বামী ১০ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। ভিকটিম তার ১৫ বছরের ছোট মেয়েকে নিয়ে তার বসত বাড়িতে একা বসবাস করেন। গত ২২শে আগস্ট, ২০২৪ খ্রি. রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের মেয়ে ঘরের উঠানে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। কয়েকজন লোক ভিকটিমের বাড়ীর দিকে আসতে দেখে তার মেয়ে ভয়ে ঘরে ঢুকে যায়। তখন ভিকটিম ও ভিকটিমের মেয়ে একসাথে ঘর থেকে বাহির হলে ০১ নং আসামী মোঃ ইউসুফ (২৭), ০২ নং আসামী মোঃ রানা (২৪), ০৩ নং আসামী মোঃ ফয়সাল (২৫) তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং জোরপূর্বক তাদেরকে টেনে হেঁচড়ে ঐ দিন রাত অনুমান ১১.১৫ ঘটিকার সময় পার্শ্ববর্তী ০১ নং আসামী মোঃ ইউসুফের কলাবাগানে নিয়ে যায়। কলাবাগানে যাওয়ার পর ভিকটিমের মেয়ে আসামীদের নিকট হতে ছুটে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ০২ নং আসামী মোঃ রানা (২৪) ও ০৩ নং আসামী মোঃ ফয়সাল (২৫) দুইপাশ হতে ভিকটিমের দুই হাত ধরে রাখে এবং ০১ নং আসামী মোঃ ইউসুফ (২৭) অপরাপর আসামীদের সহযোগীতায় ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের মেয়ে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ঘটনার বিস্তারিত শুনার পর কলাবাগানের দিকে এগিয়ে আসলে আসামীগণ দূর থেকে দেখতে পেয়ে ভিকটিমকে ছেড়ে দিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। অতঃপর স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে সেখান থেকে উদ্ধার করে তার বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামগড় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়।

মামলা রুজুর পরবতীর্তে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার) মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনায় রামগড় থানার একাধিক চৌকস টিম আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান শুরু করে। পরবর্তীতে গত ২৭শে আগস্ট ২০২৪ খ্রি. গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামী ০১. মোঃ ইউসুফ (২৭), পিতা—ইসমাইল হোসেন, স্থায়ী: গ্রাম— রামগড় (নাকাপা, ০৩নং ওয়ার্ড, ০২নং পাতাছড়া ইউপি), উপজেলা/থানা— রামগড়, জেলা —খাগড়াছড়ি, ০২. মোঃ রানা (২৪) পিতা—মীর হোসেন, স্থায়ী: গ্রাম— রামগড় (নাকাপা, ০৩নং ওয়ার্ড, ০২নং পাতাছড়া ইউপি), উপজেলা/থানা— রামগড়, জেলা—খাগড়াছড়িদ্বয়কে চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানাধীন হেঁয়াকো বাজার এলাকা হতে এবং আসামী ০৩. মোঃ ফয়সাল (২৫), পিতা—দুলাল মিয়া, স্থায়ী: গ্রাম— রামগড় (নাকাপা, ০৩নং ওয়ার্ড, ০২নং পাতাছড়া ইউপি), উপজেলা/থানা— রামগড়, জেলা—খাগড়াছড়িকে রামগড় থানাধীন নাকাপা এলাকা হতে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে বিধি মোতাবেক যথাসময়ে সোপর্দ করা হবে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলায় খাগড়াছড়িতে ৩ আসামী গ্রেফতার।

সর্বশেষ আপডেট : ০৯:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

খাগড়াছড়ি জেলার সার্বিক আইন—শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও গতিশীল রাখার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার) ফৌজদারী মামলার আসামী গ্রেফতার, দীর্ঘদিনের বিলম্বিত পরোয়ানা তামিল, অভ্যাসগত চোর—ডাকাত চক্রের বর্তমান অবস্থান নির্ধারণ ও তথ্য সংগ্রহ সহ বিভিন্ন প্রকার উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে জেলার সকল পর্যায়ের অফিসার ও ফোর্সদের নিকট জোর তাগিদ প্রদান করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রামগড় থানার একাধিক চৌকস টিম এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে এজাহারনামীয় ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করে ।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ভিকটিম (৫০) এর স্বামী ১০ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। ভিকটিম তার ১৫ বছরের ছোট মেয়েকে নিয়ে তার বসত বাড়িতে একা বসবাস করেন। গত ২২শে আগস্ট, ২০২৪ খ্রি. রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের মেয়ে ঘরের উঠানে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। কয়েকজন লোক ভিকটিমের বাড়ীর দিকে আসতে দেখে তার মেয়ে ভয়ে ঘরে ঢুকে যায়। তখন ভিকটিম ও ভিকটিমের মেয়ে একসাথে ঘর থেকে বাহির হলে ০১ নং আসামী মোঃ ইউসুফ (২৭), ০২ নং আসামী মোঃ রানা (২৪), ০৩ নং আসামী মোঃ ফয়সাল (২৫) তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং জোরপূর্বক তাদেরকে টেনে হেঁচড়ে ঐ দিন রাত অনুমান ১১.১৫ ঘটিকার সময় পার্শ্ববর্তী ০১ নং আসামী মোঃ ইউসুফের কলাবাগানে নিয়ে যায়। কলাবাগানে যাওয়ার পর ভিকটিমের মেয়ে আসামীদের নিকট হতে ছুটে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ০২ নং আসামী মোঃ রানা (২৪) ও ০৩ নং আসামী মোঃ ফয়সাল (২৫) দুইপাশ হতে ভিকটিমের দুই হাত ধরে রাখে এবং ০১ নং আসামী মোঃ ইউসুফ (২৭) অপরাপর আসামীদের সহযোগীতায় ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের মেয়ে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ঘটনার বিস্তারিত শুনার পর কলাবাগানের দিকে এগিয়ে আসলে আসামীগণ দূর থেকে দেখতে পেয়ে ভিকটিমকে ছেড়ে দিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। অতঃপর স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে সেখান থেকে উদ্ধার করে তার বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামগড় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়।

মামলা রুজুর পরবতীর্তে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার) মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনায় রামগড় থানার একাধিক চৌকস টিম আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান শুরু করে। পরবর্তীতে গত ২৭শে আগস্ট ২০২৪ খ্রি. গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামী ০১. মোঃ ইউসুফ (২৭), পিতা—ইসমাইল হোসেন, স্থায়ী: গ্রাম— রামগড় (নাকাপা, ০৩নং ওয়ার্ড, ০২নং পাতাছড়া ইউপি), উপজেলা/থানা— রামগড়, জেলা —খাগড়াছড়ি, ০২. মোঃ রানা (২৪) পিতা—মীর হোসেন, স্থায়ী: গ্রাম— রামগড় (নাকাপা, ০৩নং ওয়ার্ড, ০২নং পাতাছড়া ইউপি), উপজেলা/থানা— রামগড়, জেলা—খাগড়াছড়িদ্বয়কে চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানাধীন হেঁয়াকো বাজার এলাকা হতে এবং আসামী ০৩. মোঃ ফয়সাল (২৫), পিতা—দুলাল মিয়া, স্থায়ী: গ্রাম— রামগড় (নাকাপা, ০৩নং ওয়ার্ড, ০২নং পাতাছড়া ইউপি), উপজেলা/থানা— রামগড়, জেলা—খাগড়াছড়িকে রামগড় থানাধীন নাকাপা এলাকা হতে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে বিধি মোতাবেক যথাসময়ে সোপর্দ করা হবে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।