আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়ায় আগামীকাল থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) চলমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আজকে ১০০টির বেশি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। কিছু জায়গায় হামলা হয়েছে। যেসব কারখানা আজকে বন্ধ ছিল, কালকে থেকে তা চালু হবে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিজিএমইএকে পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে বিধায় বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে বলেও জানান খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
পোশাক কারখানায় যারা ঝামেলা করছেন তারা বহিরাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সমস্যা খুবই কম। বহিরাগত কারা হামলা চালাচ্ছে তাদের চেনে না বিজিএমইএ। এদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। মাসের শুরুতে কারখানায় ঝামেলা হলেও বেতন দিতে দেরি হবে না।’
বিজিএমইএর জেষ্ঠ্য সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘প্রতিদিন কারখানায় শ্রমিক ঢুকছে। কিন্তু বহিরাগতরা এসে ঝামেলা করছে। পুলিশ নিজেই আছে অস্থিরতার মধ্যে। আজকের ওসি জানে না কালকে কোথায় বদলি হবে। আর্মির হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা নেই। আবার পুলিশের হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা থাকলেও তারা বর্তমানে দুর্বল। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে আজকে রাত থেকে যৌথ অভিযান শুরু হবে। এতোদিন সমন্বয়ের অভাব থাকলেও, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এসব বাহিনী বৈঠক করে জানিয়েছেন আজকে।’
এর আগে বুধবার চাকরি এবং নিয়োগে নারী-পুরুষের সমান অধিকারসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা। এদিন দুপুরে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারাখানায় ছুটি ঘোষণা করে মালিক পক্ষ।