রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউপির কামারপাড়া গ্রামের আদা চাষি আলাউদ্দিন কবির তার তিন একর জমিতে রয়েছে লিচু বাগান এর পাশাপাশি ২২হাজার বস্তায় লাগিয়েছে আদা।
কৃষক কবিরের বক্তব্য এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। প্রতি বস্তায় গড়ে ১কেজি উৎপাদন হবে এমনি প্রত্যাশা। বাগনটি পরিদর্শনে গিয়ে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপ-পরিচালক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন,কৃষি ক্ষেত্রে রংপুর একটি সম্ভাবনাময় এলাকা।
এখানে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। বস্তায় মসলা জাতীয় ফসলের চাষ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।বিগত তিন বছর ধরে আমরা এ বিষয়ে কৃষকদের বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি।
চলতি বছর রংপুরে মূল আবাদি ১২২৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আদা এবং ১১৫০হেক্টরে হলুদ। আদার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন। মোট আদার চাষ হয়েছে ৩ লক্ষ ৬২০০০ বস্তায়। উৎপাদন সন্তোষজনক।
আবহাওয়া এবং এলাকার মাটি আদা চাষের অনুকূল। আমাদের দেশের আমদানিকৃত মসলা জাতীয় ফসলের বেশ বড় একটি অংশ এই আদা। বস্তায় আদা চাষ বাণিজ্য ঘাটতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
উপ-পরিচালক মহোদয় আরো বলেন, যেহেতু প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে কাঁচামরিচের বাজার অনেকটা অস্থিতিশীল হয়, তাই আমরা পাশাপাশি কৃষকদের বস্তায় মরিচ উৎপাদনের পরামর্শ প্রদান করছি।
এতে মানুষের মরিচের পারিবারিক চাহিদা মিটবে। সবজি হিসেবে বেগুনও বস্তায় চাষ করা সম্ভব। বস্তায় মসলা জাতীয় ফসলের চাষ একসময় বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লব ঘটাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন #