০১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুশ্চিন্তায় নিম্ন আয়ের মানুষ,জা বললেন চা বিক্রেতা মিজান।

দ্রব্যমূল্যে ক্রয় ক্ষমতার ঊর্ধ্বগতির প্রভাবে তার মতো মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ যতোটা না ভুগছে তার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর। এ বিষয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলে মিরপুর পল্লবী ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারের সামনে চায়ের দোকানদার মিজান বলেন,এই এলাকায় দীর্ঘ ১৮ বছর দোকানদারি করে কোন রকম পরিবারকে নিয়ে জীবন নির্বাহ করছি ।

ভেবেছিলাম বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর দেশে জিনিসপত্রের দাম অনেক কমে খেতে পারবো, কিন্তু যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়তাছে, তাতে করে আমাদের মত চা ব্যবসাহিক, দিনমজুর রিক্সাওয়ালা সহ, ঢাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে দুই বেলা খাওয়া খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে,মিজান বলেন এক হাজার টাকা নিয়ে বাজারে গিয়েছিলাম,কিন্তু মন মত তো বাজার দূরের কথা তিন বেলা খাব সে বাজারও করতে পারলাম না তাই মনটা বেশি ভালো না, একটা বয়লার মুরগি কিনছি দের কেজি তার দাম ৪২০ টাকা আড়াইশো গ্রাম মরিচ কিনছে ১২০ টাকা ৫ কেজি চাউল কেনার পর আমার হাতে আর টাকা নাই।

এখনো বাজার অনেক বাকি, দিসা না পেয়ে বাসায় চলে আসলাম,এসে শুনি বাসায় কোন সবজি নাই, আর অন্যদিকে সবজির বাজারে গিয়ে দাম শুনি ২০০ টাকা বেগুনের কেজি, ডিমের কথা নাই বললাম, এক সপ্তাহ আগেও যে পটল, ভেন্ডি, কচুর মুখি,বেগুন ৬০ টাকা কিনেছিলাম, সেগুলো এখন বাজারে গিয়ে দাম শুনে চলে আসি কেনার মত সামর্থ্য নাই, মিজান আরো বলেন গত দুই-তিন সপ্তাহে দ্রব্যমূল্য অনেকটাই বেড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে- এখন কেন দ্রব্যমূল্য বাড়বে? এখন তো সেই ‘সিন্ডিকেট’ থাকার কথা নয়, ‘চাঁদাবাজি’ও বন্ধ হওয়ার কথা, তাহলে কেন দাম বাড়ছে?

এমন অবস্থায় বাজারে যদি অস্বাভাবিকভাবে চাল-ডাল ও সবজির দাম বাড়তে থাকে, তাহলে আমরা কিভাবে বাঁচবো। মিজান আরো বলেন, সব সরকারই গরীবের পক্ষের সরকার বলে দাবি করে। আমরা তো কাজে-কর্মে দেখি কোনো সরকারই গরীবের কথা ভাবে না। গরীবরা কিভাবে চলছে, তা নিয়ে চিন্তাও করে না। যাইহোক- বর্তমান সরকারকে বলবো, সবজি বাজারে নজর দিন। আমরা গরীবরা সবজি বাজারে ঢুকতে পারছি না। সবজি ছাড়াই ভাত খেতে হচ্ছে আমাদের।

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

দুশ্চিন্তায় নিম্ন আয়ের মানুষ,জা বললেন চা বিক্রেতা মিজান।

সর্বশেষ আপডেট : ১২:০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

দ্রব্যমূল্যে ক্রয় ক্ষমতার ঊর্ধ্বগতির প্রভাবে তার মতো মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ যতোটা না ভুগছে তার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর। এ বিষয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলে মিরপুর পল্লবী ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারের সামনে চায়ের দোকানদার মিজান বলেন,এই এলাকায় দীর্ঘ ১৮ বছর দোকানদারি করে কোন রকম পরিবারকে নিয়ে জীবন নির্বাহ করছি ।

ভেবেছিলাম বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর দেশে জিনিসপত্রের দাম অনেক কমে খেতে পারবো, কিন্তু যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়তাছে, তাতে করে আমাদের মত চা ব্যবসাহিক, দিনমজুর রিক্সাওয়ালা সহ, ঢাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে দুই বেলা খাওয়া খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে,মিজান বলেন এক হাজার টাকা নিয়ে বাজারে গিয়েছিলাম,কিন্তু মন মত তো বাজার দূরের কথা তিন বেলা খাব সে বাজারও করতে পারলাম না তাই মনটা বেশি ভালো না, একটা বয়লার মুরগি কিনছি দের কেজি তার দাম ৪২০ টাকা আড়াইশো গ্রাম মরিচ কিনছে ১২০ টাকা ৫ কেজি চাউল কেনার পর আমার হাতে আর টাকা নাই।

এখনো বাজার অনেক বাকি, দিসা না পেয়ে বাসায় চলে আসলাম,এসে শুনি বাসায় কোন সবজি নাই, আর অন্যদিকে সবজির বাজারে গিয়ে দাম শুনি ২০০ টাকা বেগুনের কেজি, ডিমের কথা নাই বললাম, এক সপ্তাহ আগেও যে পটল, ভেন্ডি, কচুর মুখি,বেগুন ৬০ টাকা কিনেছিলাম, সেগুলো এখন বাজারে গিয়ে দাম শুনে চলে আসি কেনার মত সামর্থ্য নাই, মিজান আরো বলেন গত দুই-তিন সপ্তাহে দ্রব্যমূল্য অনেকটাই বেড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে- এখন কেন দ্রব্যমূল্য বাড়বে? এখন তো সেই ‘সিন্ডিকেট’ থাকার কথা নয়, ‘চাঁদাবাজি’ও বন্ধ হওয়ার কথা, তাহলে কেন দাম বাড়ছে?

এমন অবস্থায় বাজারে যদি অস্বাভাবিকভাবে চাল-ডাল ও সবজির দাম বাড়তে থাকে, তাহলে আমরা কিভাবে বাঁচবো। মিজান আরো বলেন, সব সরকারই গরীবের পক্ষের সরকার বলে দাবি করে। আমরা তো কাজে-কর্মে দেখি কোনো সরকারই গরীবের কথা ভাবে না। গরীবরা কিভাবে চলছে, তা নিয়ে চিন্তাও করে না। যাইহোক- বর্তমান সরকারকে বলবো, সবজি বাজারে নজর দিন। আমরা গরীবরা সবজি বাজারে ঢুকতে পারছি না। সবজি ছাড়াই ভাত খেতে হচ্ছে আমাদের।