তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে না বরং তিনি নিজেই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সোমবার (২৭ মে) দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের সময় দেশের মানুষের কথা না ভেবে বিএনপি নিয়ে বাজে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী।
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন সরকারপ্রধান। অর্থনৈতিক দুর্ভোগ থেকে জনগণকে না বাঁচিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন। তিনি বলেন, জনগণ অসন্তুষ্ট হলে সরকারের কিছু যায় আসে না। কারণ তাদের জনগণের ভোটের প্রয়োজন নেই। ব্যাংক খাতে অনিয়ম আর দুর্নীতিতে ভরে গেছে। যাকে তাকে ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দেয়া হয়েছে। লুটপাটের কারণে টাকার মান প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। সরকারি লোকদের ভোগের কারণে ঋণ হয়ে গেছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। দেশের সংকট মোকাবিলা না করে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার গুরুত্ব সরকারপ্রধানের কাছে বেশি।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, সেই গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। কাউকে ফিরিয়ে আনতে হবে না, তারেক রহমান নিজেই দেশে ফিরবেন।
এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। নানা অপকর্মের জন্য শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। টাকা পাচার করতে করতে নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছে ক্ষমতাসীনরা। খুনি ডাকাতদের দায় সরকারকেই নিতে হবে। ফেরাউন পার পায়নি, সরকারও পার পাবে না। প্রতিটি অপকর্মের বিচার হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারপ্রধান মিথ্যা কথা বলতে ভালোবাসেন। উন্নয়নের কথা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখতে ঈদের আনন্দ লাভ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিএনপি নেতাদের কারাগারে রাখতে ভালোবাসেন। বেগম জিয়াকে সরকার অনেকদিন ধরে কারাবন্দি করে রেখেছেন। চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেন না তাকে। রোগে শোকে আছেন বেগম জিয়া। প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে বিষোদগার করছেন শেখ হাসিনা।