০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর আগে জীবনের শেষ ভিডিওবার্তায় যা বলেছিলেন শাফিন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে গত ২০ জুলাই একটি স্টেজ শোয়ে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের। কিন্তু অনুষ্ঠানের আগের দিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফলে কনসার্টের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন আয়োজকরা।

এদিন মঞ্চে গান গাওয়ার কথা ছিল জনপ্রিয় গায়িকা সামিনা চৌধুরীর। তবে সেই কনসার্টের মঞ্চ আর মাতানো হলো না শাফিন আহমেদের। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

 

মঞ্চের এলইডি পর্দায় ভেসে আসেন ‘মাইলস’ খ্যাত তারকা শাফিন আহমেদ। এলইডির পর্দায় এক ভিডিওবার্তায় এ গায়ককে বলতে দেখা যায়, ‘আজ কনসার্টে আপনাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক কিছু জটিলতার জন্য মেডিকেল চেকআপ করতে আসি। মেডিকেল চেকআপ করতে এসে চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী সময় লাগছে।

হাসপাতালে ভর্তি চেকআপ করতে হচ্ছে। আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি আছি। আপনাদের সঙ্গে হয়তো আজকে আর দেখা হচ্ছে না। দুঃখিত, আমার সব শ্রোতা ও ভক্তদের কাছে; একইসঙ্গে আয়োজকদের কাছেও। আগামীতে নিশ্চয়ই আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। আমি আশা করব, আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। ধন্যবাদ।’

এ তারকা ভিডিওবার্তা দেওয়ার পর ওইদিন রাতেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাকও হয় শাফিন আহমেদের। এরপর বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে মৃত্যু হয় শাফিনের। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংগীতজগতে।

 

বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনের দুই মহারথী সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং সুরকার কমল দাশগুপ্তের ছেলে শাফিন আহমেদ। পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে ছোটবেলা থেকেই গানের আবহে বেড়ে ওঠেন তিনি। বাবার কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত আর মায়ের কাছে নজরুলগীতি শিখেছেন।

 

বড় ভাই হামিন আহমেদের সঙ্গে ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে পশ্চিমের সংগীতের সঙ্গে সখ্য হয় শাফিন আহমেদের। শুরু হয় এই গায়কের ব্যান্ড সংগীতের যাত্রা। ১৯৭৯ সালে একরকম শখের বশেই গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল ‘মাইলস’। প্রথম কয়েক বছর বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে ইংরেজি গান গাইতেন তারা। পরে মাইলসের বাংলা গানের প্রথম অ্যালবাম বের হয় ১৯৯১ সালে।

 

মাইলসের সঙ্গে তিন দশকের পথচলার সমাপ্তি টেনে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বেরিয়ে আসেন শাফিন আহমেদ। তবে তার সংগীত যাত্রা চলতে থাকে। তার বিভিন্ন সলো অ্যালবামও জনপ্রিয় হয়।

পরে নিজের ব্যান্ড দল ‘ভয়েস অব মাইলস’ গড়ে তোলেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই দলকেই এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছিলেন শাফিন। তবে খুব বেশি দূর যাওয়ার আগেই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

মৃত্যুর আগে জীবনের শেষ ভিডিওবার্তায় যা বলেছিলেন শাফিন

সর্বশেষ আপডেট : ০৫:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে গত ২০ জুলাই একটি স্টেজ শোয়ে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের। কিন্তু অনুষ্ঠানের আগের দিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফলে কনসার্টের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন আয়োজকরা।

এদিন মঞ্চে গান গাওয়ার কথা ছিল জনপ্রিয় গায়িকা সামিনা চৌধুরীর। তবে সেই কনসার্টের মঞ্চ আর মাতানো হলো না শাফিন আহমেদের। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

 

মঞ্চের এলইডি পর্দায় ভেসে আসেন ‘মাইলস’ খ্যাত তারকা শাফিন আহমেদ। এলইডির পর্দায় এক ভিডিওবার্তায় এ গায়ককে বলতে দেখা যায়, ‘আজ কনসার্টে আপনাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক কিছু জটিলতার জন্য মেডিকেল চেকআপ করতে আসি। মেডিকেল চেকআপ করতে এসে চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী সময় লাগছে।

হাসপাতালে ভর্তি চেকআপ করতে হচ্ছে। আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি আছি। আপনাদের সঙ্গে হয়তো আজকে আর দেখা হচ্ছে না। দুঃখিত, আমার সব শ্রোতা ও ভক্তদের কাছে; একইসঙ্গে আয়োজকদের কাছেও। আগামীতে নিশ্চয়ই আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। আমি আশা করব, আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। ধন্যবাদ।’

এ তারকা ভিডিওবার্তা দেওয়ার পর ওইদিন রাতেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাকও হয় শাফিন আহমেদের। এরপর বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে মৃত্যু হয় শাফিনের। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংগীতজগতে।

 

বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনের দুই মহারথী সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং সুরকার কমল দাশগুপ্তের ছেলে শাফিন আহমেদ। পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে ছোটবেলা থেকেই গানের আবহে বেড়ে ওঠেন তিনি। বাবার কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত আর মায়ের কাছে নজরুলগীতি শিখেছেন।

 

বড় ভাই হামিন আহমেদের সঙ্গে ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে পশ্চিমের সংগীতের সঙ্গে সখ্য হয় শাফিন আহমেদের। শুরু হয় এই গায়কের ব্যান্ড সংগীতের যাত্রা। ১৯৭৯ সালে একরকম শখের বশেই গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল ‘মাইলস’। প্রথম কয়েক বছর বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে ইংরেজি গান গাইতেন তারা। পরে মাইলসের বাংলা গানের প্রথম অ্যালবাম বের হয় ১৯৯১ সালে।

 

মাইলসের সঙ্গে তিন দশকের পথচলার সমাপ্তি টেনে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বেরিয়ে আসেন শাফিন আহমেদ। তবে তার সংগীত যাত্রা চলতে থাকে। তার বিভিন্ন সলো অ্যালবামও জনপ্রিয় হয়।

পরে নিজের ব্যান্ড দল ‘ভয়েস অব মাইলস’ গড়ে তোলেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই দলকেই এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছিলেন শাফিন। তবে খুব বেশি দূর যাওয়ার আগেই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।