ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দেবে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক শহীদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই সভা হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) ও কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে এদিন ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের দপ্তর সম্পাদক ও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের এককালীন ও মাসিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া আলাদাভাবে ক্ষতি অনুযায়ী জরুরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
শহীদদের তালিকা চূড়ান্ত হলে তাঁদের নিয়ে ঢাকায় একটি স্মরণ সভার পরিকল্পনা করছে সরকার। ইতোমধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা কমিটির তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৮০০ জন শহীদ হয়েছেন এবং ২০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেবে বলেও আগে জানিয়ে দেওয়া হয়।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই ফাউন্ডেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটিকে সফল করার জন্য আমাদের কঠোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এই ফাউন্ডেশনে ক্ষুদ্র অনুদানও নথিভুক্ত করা হবে এবং দাতাদের তালিকা সংরক্ষণ করা হবে। সম্ভব হলে তাদের নাম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।