০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর ওপর হামলা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপি আহ্বায়ক শরীফ রফিকউজ্জামান।

 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বেদগ্রামের পথসভা শেষ করে গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। গাড়িবহরটি ঘোনাপাড়ায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের জেলা, থানা ও পৌর নেতাদের যোগসাজশে কয়েক হাজার আওয়ামী দুর্বৃত্ত হামলা চালান। এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আর কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রীসহ সফর সঙ্গীরা আহত হন। এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ কোনো না কোনোভাবে এ হামলা ও খুনের ঘটনায় ভূমিকা রেখেছেন। হামলার পর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক যে কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছেন, যা একটির সঙ্গে অন্যটির মিল নেই। অসংলগ্ন এসব বিবৃতির মাধ্যমে এ হামলা ও হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এটিই আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট্য। এ হত্যা ও হামলার পরামর্শদাতা, ইন্ধনদাতা ও অর্থদাতাদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

এসময় বিএনপি নেতা ডা. কে এম বাবর, আজিজুর রহমান বেনো, অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলাম, এস এম জিয়াউল কবির বিপ্লব, শহিদুল ইসলাম লেলিন, জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপ্টন, সাধারণ সম্পাদক পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন হীরাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা শেষ করে গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন বিএনপির ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ কর্মীরা। গাড়িবহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদার নিহত হন। এছাড়া কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন।

জনপ্রিয় খবর

স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি

গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

সর্বশেষ আপডেট : ০৮:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর ওপর হামলা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপি আহ্বায়ক শরীফ রফিকউজ্জামান।

 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বেদগ্রামের পথসভা শেষ করে গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। গাড়িবহরটি ঘোনাপাড়ায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের জেলা, থানা ও পৌর নেতাদের যোগসাজশে কয়েক হাজার আওয়ামী দুর্বৃত্ত হামলা চালান। এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আর কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রীসহ সফর সঙ্গীরা আহত হন। এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ কোনো না কোনোভাবে এ হামলা ও খুনের ঘটনায় ভূমিকা রেখেছেন। হামলার পর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক যে কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছেন, যা একটির সঙ্গে অন্যটির মিল নেই। অসংলগ্ন এসব বিবৃতির মাধ্যমে এ হামলা ও হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এটিই আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট্য। এ হত্যা ও হামলার পরামর্শদাতা, ইন্ধনদাতা ও অর্থদাতাদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

এসময় বিএনপি নেতা ডা. কে এম বাবর, আজিজুর রহমান বেনো, অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলাম, এস এম জিয়াউল কবির বিপ্লব, শহিদুল ইসলাম লেলিন, জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপ্টন, সাধারণ সম্পাদক পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন হীরাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা শেষ করে গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন বিএনপির ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ কর্মীরা। গাড়িবহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদার নিহত হন। এছাড়া কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন।